নদী পাড়ের কন্যা
যতন করিয়া ভাবিনু তাহারে
আসিবে কী মোর ঘরে,
স্বপন দেখিয়া জাগিয়া উঠি
দরশন পাইবার তরে।
আকাশ জুড়িয়া বাতাস বহিছে
স্মৃতি গুলি মম ঘুমিয়ে,
সুখ-দুঃখ চিরসাথী-
আমি নদী পাড়ের মেয়ে।
অন্তহীন ভাবনায় পড়িয়া কাঁদি
সাথীহীন একা তটিনীর কূলে,
দেখিয়াছি তুমি ঘুরিয়া বেড়াও
উদাসী হাওয়ায় মন ভুলে।
হাঁটিতেছি আমি তটিনীর পাড়ে
কাদা-জল ছোঁয়ায়ে দুপায়,
মাঝ দরিয়ায় বহিছে তরী
ডাকিয়া লইবে-কী কেউ আমায়?
ছোট্ট মীনেরা করিছে খেলা
দেখিয়া লাফায় কত শতে,
ধরিতে যাইয়া দেখি একা
কেউ নাই মম সাথে।
বিরহ গীত গাইছে হিয়া
না দেখিয়া তব বদন,
তটিনীর বুকে ঢেউ উঠিছে
মম হৃদয়ে দেখি কাঁদন।
দোলা দিয়েছে দরিয়ার হাওয়া
মম অঙ্গের নীল বসনে,
বলিতেছে হাওয়া কহ কথা
ভাবনা রহিয়াছে যত মনে।
দেখিয়া ফিরিব আপন ঘরে
কিছু নাহি বলা হয় তাহারে,
হৃদয়ের কথা মম লুকাই
বলিতে পারিনা কাহারও ধারে।
নত হইয়া দেখি হেথা
চরের বালুকা করিছে চিক চিক,
হৃদয়ের কথা কহিব গোপনে
আমায় যে দেয় ধিক্।
ধীর লয়ে চলি মুক্তকেশী
স্মৃতির পান্ডুলিপি হস্তে লয়ে,
সকল ভাবনা ধরিছে আঁকড়ে
করিব কি, কে দিবে কয়ে।
সুন্দরী নই দেখিতে শ্যামা
মম অঙ্গ, তনু-বদন,
ভাবিতেছি যত কথা মনে
পূর্ণ হইবে কী সে-সাধন?
নিরবে ভাবিয়া অনেক কথা
দু’নয়ন হইতে ঝরিছে ঝর্ণা,
শত দুঃখ কষ্টে মানুষ
আমি নদী পাড়ের কন্যা।
নতুন নতুন কবিতা পেতে ভিজিট করতে পারেন আমার সাইটে
ReplyDeletewww.valobasargolpo2.xyz