যে আলোয় আমি মুগ্ধ হয়েছি বসুমতিতে,
তার বিচরণ সমুদ্র-সৈকতের বালুকা রাশিতে
লুটিয়ে পড়ে-
দিগ্বিদিকের নেশা কাটিয়ে
পরমাদরে জড়িয়ে রাখে মনো-গহীনের
পুষ্প সজ্জিত তুলির বিছানার ছোট্ট কুঠিরে।
সুন্দর আলো- মনের মাধুরীতে মিশিয়ে
আপন হস্তে গড়ে তুলেছেন বিধাতা নিখুঁত কারিগরিতায়;
রূপ-যৌবনা অন্তরাত্মা- অন্তর্হীত দিনমণি
ভয়ে চুপসায় আঁধার রজনী কোলে আচ্ছাদিত আচল তলে মোহনিদ্রায়,
তবুও আলো হারায় না: নয়ন সস্মুখের নক্ষত্রপুঞ্জের উজ্জ্বলতা,
চন্দ্রিমা-রূপে প্লাবিত- জোছ্নায় জোনাকির আলোক সম্বলিত তনু
চিনতে যাদুকরীর মায়াতে ভিমরি খায় তেজদ্বীপ্ত যৌবনরা।
আলো নিভেনা- ফুরায় না হৃদয়-রাজ্যের কুসুম কোমল
অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকা সেই আলো;
মনের আঙিনা জুড়ে উঠতি বয়োসি পারিজাত,
বসন্ত লুটোপুটি দিয়ে আগমন ধ্বনি প্রকাশিত হয়
হারানো ব্যথা-বেদনা ভুলিয়ে।
ভালবাসার আদরে জড়িত আলো,
সুবাসিত পুষ্পকুঞ্জের কলকাকলিতে ধ্বনিত সেই ভালবাসার মন্দির;
মৃত্তিকা-তরুলতায় আবদ্ধ তনু-বদন
সজিবতার স্পর্শে মোহিত ক’রে
অজান্তে বয়ে চলা প্রেম যমুনা।
অমাবশ্যার কালিমা, হৃদয়ের ব্যাকুলতা
আঁখি পলকে নিঃশেষ- চঞ্চলামতি
চাহনির অন্তরালে লুকিয়ে থাকা প্রেমো-ভান্ডারে
হানা দেওয়ার মতলবে উঁকি দিয়ে ওঠে ভরা যৌবনরা।
আঁধারেও আলোর স্পর্শের ছোঁয়া মেলে- অস্তিত্ব
অনুভবে মিশ্রিত আলো: সুখ সাধনায়
সদাই অগ্রসরতার বাহু-ডোরে উদ্ভাসিত,
উল্লাসিত নেত্রদ্বয় প্রকম্পিত করে তোলে বনভুমির ব্যাঘ্রদ্বয়ের হৃদপিন্ড।
ঐ আলোর ছোঁয়ায় আলোকিত জীবন-
অন্তরাস্থল সজ্জিত স্মৃতির পরমাণুর সুক্ষ্ণ কণার কণিকা ভাঁজে
লুকিয়ে থাকা আলো দেখিয়েছে দু’নেত্রে সুখের স্বপন।
যে আলোর রূপে বিমোহিত এই ভূ-পৃষ্ঠের চলমান অনুরাগী-
বন্ধনের সুত্রগাঁথা পুষ্পমালিকা-চন্দনে সজ্জিত রূপোবর্তিকা আলো
সোহাগের পরশে জীবন ভরিয়ে দিলো এই সমুদ্র-কিনার-
সে আমার ভালবাসার আলো।