বাদল দিনে
বৃষ্টি ঝরে প্রবল ধারায়, দূর প্রান্ত ফাঁকা
ঘন বৃষ্টির ফাঁকে ফাঁকে বিজলী যায় দেখা।
পথের ধারের ডালিম গাছটি নূয়ে দেয় বাতাস
থামবে বৃষ্টি একটু পরে, হচ্ছি কেন হতাশ।
রাস্তা-ঘাটে জল বেধেছে, আসবে তুমি কেমনে
মৌচাকটি দিচ্ছে দোলা, ভয় ঢুকেছে মনে।
ডালের উপর ঝিমায় বসে পাখির রাজা ফিঙে
মাঝে মাঝে আকাশ ডাকে ফুতকার দিয়ে শিঙে।
বৃষ্টি তুমি ভারি পাজি, মন বসে না ঘরে
বারান্দাতে পায়চারি করি, তোমায় দেখার তরে।
বৃষ্টি তুমি থেমে যাও, আসবে আমার প্রিয়ে
লাল শাড়ি গায়ে জড়িয়ে, মাথায় ঘোমটা দিয়ে।
বৃষ্টি তুমি থামো এবার, তোমায় করছি মানা
তোমার কারণে আকাশে আজ পাখিরা মেলেনি ডানা।
তোমার জলের ঝাপটা খেয়ে থুবড়ে পড়েছে প্রজাপতি
ভাবছো তুমি আটকে রেখে ভাঙবে প্রেম-প্রীতি।
অনেক হয়েছে দূরে যাও, শোনো আমার কথা
একটু পরে মারবো তোমায়, গরম হয়েছে মাথা।
চললাম আমি ছাতা নিয়ে, তাকে দেখার আশায়-
না থামলে গালি দিতাম, মৃদু-মন্দ ভাষায়।
বৃষ্টি ঝরা শেষ হয়েছে, তুমি বড় লক্ষী
যা বলেছি মনে মনে, অন্তর্যামী সাক্ষী।
এখন প্রিয়া অসবে ধিরে খালি দু'খানি পায়ে
একটু একটু কাঁপন লাগবে প্রিয়ার সারা গায়ে।
No comments:
Post a Comment