এই অবারিত পুষ্প সজ্জিত বসুন্ধরায় তোমার
স্নিগ্ধ হাসি যেন ফোটা কমল আর শরতে ফোটা
শিউলী ফুলের মত।
বিভাবরী নয়ন যুগল উন্নত ভ্রƒতে চন্দ্রের ছোঁয়া
এঁকে দিয়েছে ধনুক আর পলাশ ফুল
রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে তোমার ওষ্ঠদ্বয়।
তোমার রূপ সৌন্দর্য্য গহ্বরে হারিয়ে যেতে
ইচ্ছা করে।
সূর্য তাপে যেমন বৃক্ষরাজি তরতাজা হয়ে
ওঠে
তেমনি তোমার পানে চেয়ে
আমার অসাড় দেহ খানি সজিবতা ফিরে পায়
আর নয়ন সম্মুখে দেখতে পাই
অজস্র সুখে দোলান শতদল।
তোমার প্রকৃত শ্বাসত রূপ ধাঁধিয়ে দিয়েছে
আর কেড়ে নিয়েছে সকল নিদ্রা-পানাহার।
তোমায় এক পলক দেখার জন্য
সূর্য অধীর আগ্রহে বসে থাকে সারা রাত্রি।
প্রভাত কালে যখন তুমি তাকে দেখবে,
মনে হবে কত যুগ না দেখে তোমায়
মুখটা কেমন কমলা বর্ণ ধারণ করেছে।
শারদ স্নিগ্ধ রাতে,
চন্দ্র তোমায় দেখে আনন্দে পুলকিত হয়ে
তোমার সুন্দর বদনে ছড়িয়ে দেয় জোছ্নার আলো
তখন চারিদিকে ছিন্ন হয় সকল পার্থক্যের
বেড়া জাল।
অনেক দুষ্ট ছেলে তোমার রূপ মাধুর্য্য দর্শনে
উন্মাদ হয়ে কবিতা লিখতে বসে,
‘তুমি আমার ভালবাসা’
কিন্তু সহস্র নয়নে যখন ওই তারকা পুঞ্জ
তোমার পানে চেয়ে হাত বাড়ায় বাহু ডোরে বাঁধতে
তখন আমার হিংসা হয়, কেন জান?
যদি তোমাকে গভীর রজনীতে চুরি করে নিয়ে
যায়,
তুমি যদি আমার কথা ভুলে যাও তাদের পানে
চেয়ে,
আমাকে যদি চিনতে না পার
অসংখ্য জ্বল জ্বল করা নক্ষত্রের মাঝে-
এই ভয়ে শিহ্রে উঠি।
No comments:
Post a Comment